পরিবেশ নিয়ে ডিজিটাল সচেতনতায় ‘গো উইথ আশরাফুল আলম’

গো উইথ আশরাফুল আলম

এক দশক ধরে পরিবেশকর্মী হিসেবে কাজ করছেন মোঃ আশরাফুল আলম। প্রকৃতি প্রেমী এই যুবক এরই মধ্যে সুপরিচিতি পেয়েছেন তার বেশ কিছু ভালো কাজের জন্য। করোনা সংকটের কারনে পরিবেশ সচেতনতা ও রক্ষায় নানাবিধ কর্মসূচি পালন করতে না পারায় এবার তিনি নিয়েচেন ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ।

আশরাফুল আলম ডিজিটাল মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তৈরি করেছেন ‘গো উইথ আশরাফুল আলম’ নামের ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজ যেখানে প্রতিনিয়ত সচেতনামূল ভিডিও আপলোড করে যাচ্ছেন। শুধুমাত্র সামাজিক মাধ্যমের বলয়ের মধ্যে না থেকে ‘গো উইথ আশরাফুল আলম’ কে একটি সামাজিক সচেতনামূল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তৈরি করাতে কাজ করে যাচ্ছেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে ২০১১ সালে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন আশরাফুল আলম। তখন থেকেই পাঠ্যাপুস্তকের মলাটে নিজেকে বেঁধে না রেখে, যুক্ত করেছেন নানান সামাজিক কার্যক্রমে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি আর্থকেয়ার ক্লাবের সাথে।

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি আর্থকেয়ার ক্লাবে যোগ দিয়েই আশরাফুল ২০১২ সালে ধানমন্ডি এলাকায় ময়লা ফেলার বাক্স রাখার উদ্যোগ নেন। আর্থকেয়ার ক্লাবের এমন উদ্যোগ বেশ প্রশংসিত হয় সেসময়। বর্তমানে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ময়লা ফেলার বাক্স চোখে পড়ে, আট বছর আগে এমন দৃশ্য সচরাচর চোখে পড়েনি। ক্লাবের প্রধান সমন্বয়ক এবং অন্যান্য সদস্যের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ  করেন আশরাফুল।

ঢাকার রাস্তায় শব্দদূষণের ব্যাপকতা কমাতে আর্থকেয়ার ক্লাব নিয়ে কাজ করেন আশরাফুল। এছাড়া পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন যেমন বাপা, পবা, সবুজপাতা, ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ, বুড়িগঙ্গা রিভারকিপার ইত্যাদি সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে পরিবেশ সচেতনতা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন তিনি।

এছাড়াও বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি, স্কুল-কলেজে পরিবেশ বিষয়ক প্রশ্ন নিয়ে কুইজ অনুষ্ঠান, পরিবেশ বিষয়ক মঞ্চ নাটিকা কিংবা প্ল্যাকার্ড হাতে শব্দদূষণ রোধের জন্য মানববন্ধনের মতো কর্মসূচিতে ক্লাবের পক্ষ থেকে অংশ নিয়েছেন বহুবার।

বর্তমানে আশরাফুল মার্কেটিং কমিউনিকেশান পেশায় কর্মরত আছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অবসর সময়ে তিনি পরিবেশ, কৃষি ও যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসেন।