গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি!

বৈশাখের গরম দেশজুড়েই পড়েছে। এরই মধ্যে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সূর্যের প্রচণ্ড উত্তাপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। রোদের তেজে ঘর থেকে বের হচ্ছে না অনেকেই।

অন্যান্য দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার সারা দেশে তাপমাত্রা প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনায় ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশের ওপর দিয়ে মৃদু দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। এই দাবদাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আগামী তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে ঢাকা বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল মাদারীপুর জেলায়-৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় অন্যান্য বিভাগের মধ্যে ময়মনসিংহে ৩৭ দশমিক ২, চট্টগ্রামের রাঙামাটি, কুমিল্লা ও ফেনীতে ৩৮ দশমিক ৪, সিলেটে ৩৮ দশমিক ৩, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৮ দশমিক ৫, রংপুর বিভাগের মধ্যে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৩৬ দশমিক ৭ এবং বরিশালে ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

তবে আট বিভাগের মধ্যে খুলনা বিভাগে গরম বেশি পড়েছে। এই বিভাগের সাতক্ষীরায় ৩৯, যশোরে ৩৯ দশমিক ৩, চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ দশমিক ৮ এবং কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ বলেন, আগামীকাল শুক্রবারও তাপমাত্রা আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। এ অবস্থায় সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ মাসের শেষ দিকে মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

তিনি বলেন, নিম্নচাপটি শক্তিশালী হয়ে ২৮, ২৯ ও ৩০ এপ্রিলের পর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এরপর সেটি আগামী ৩ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। তবে তার গতিপথ কী হতে পারে, সে-সম্পর্কিত তথ্য নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর হয়তো জানা যাবে।