কেমন হবে নতুন বছরের প্রযুক্তির জগৎ?

প্রযুক্তির

উন্নয়নের গতির পরিবর্তন প্রযুক্তি হাত ধরেই অনেক বেড়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে গেলো ২০২০ সালে প্রযুক্তির নানামুখী ব্যবহার দেখেছে বিশ্ব। একই সঙ্গে এটি মানুষের জীবনে কতটা আশীর্বাদ হতে পারে সেটাও পরিষ্কার হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার কারণে নতুন গতির সঞ্চার হয়েছে প্রযুক্তি জগতে, যা নতুন বছরেও অব্যাহত থাকবে। তাদের পূর্বাভাসে এমন কিছু প্রযুক্তির কথা বলা হয়েছে, যেগুলো ২০২১ সালে অনেক বিকশিত হবে। ফলে চাকরি প্রত্যাশীদের এসব বিষয়ে জ্ঞান অর্জনেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ইলেকট্রিক বিমান

এ বছরের আরেকটি চমকপ্রদ উদ্ভাবন হতে যাচ্ছে ইলেকট্রিক বিমান। অ্যারোস্পেস শিল্পের জন্য ২০২০ সালটি ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। বিমান পরিবহনে ধস নামায় বেশিরভাগ বিমান ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তাদের ক্রয়াদেশ বাতিল করে এবং অর্ডারের ক্ষেত্রে বেশি সময় নেয়। এসব সমস্যা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে অ্যারোস্পেস শিল্প। পাশাপাশি ২০২১ সালে রোলস রয়েস একটি ইলেকট্রিক উড়োজাহাজ নিয়ে আসবে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি

নতুন বছরে যেসব প্রযুক্তি সবচেয়ে বেশি বিকশিত হবে তার মধ্যে রয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। গত এক দশক ধরে এটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। মানুষ ভবিষ্যতে কীভাবে জীবনযাপন করবে, কাজ করবে, বিনোদন নেবে ইত্যাদি সবকিছুর ওপরই প্রভাব থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির। বিভিন্ন পূর্বাভাস বলছে, ২০২১ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজার পৌঁছাবে ৫৭ বিলিয়ন ডলারে।

খুচরা বিক্রেতার বিবর্তন

গত বছর করোনাভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত হয়েছে সব খুচরা বিক্রেতা। বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে যেসব খুচরা বিক্রেতা টিকে থাকতে পারবেন তারা হয়তো নতুন প্রযুক্তির সম্মুখীন হবেন এবং নতুন প্রযুক্তি নিয়ে ভাববেন। এদিকে ২০২১ সালে ‘গো স্টোর চেইন শপ’ আরও বিস্তৃত করবে অ্যামাজন। এ ধরনের শপে কোনও চেকআউট পয়েন্ট থাকে না। ক্রেতারা শপে প্রবেশ করে প্রয়োজন মতো যেকোনও পণ্য নেবেন এবং যাওয়ার আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করে যাবেন। শপ থেকে ক্রেতারা কী কী পণ্য নিয়েছেন সেটার তালিকা তৈরি করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ক্যামেরা।

স্বয়ংক্রিয় গাড়ি

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্স শহরে তিন শতাধিক স্বয়ংক্রিয় গাড়ি সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এসব গাড়িতে চালক হিসেবে কেউ নেই। গুগলের সহায়তায় ওয়াইমো ওয়ান নামের একটি প্রতিষ্ঠান গত বছরের অক্টোবর থেকে এই সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালে ফিনিক্সের বাইরে অন্যান্য শহরেও সেবাটির বিস্তৃতি ঘটতে পারে।

আরও পড়ুন- করোনার প্রভাব প্রযুক্তি পণ্যে

ওয়ার্ক ফ্রম হোম

করোনাভাইরাসের কারণে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ ধারণাটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান সিসিএস ইনসাইটস এক জরিপে দেখায়, পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ৬০ শতাংশ শীর্ষ ব্যবসায়ী চান তাদের প্রতিষ্ঠানের অন্তত ২৫ শতাংশ লোকবল বাসায় থেকে অফিস করুক। কেউ কেউ ১০০ ভাগ লোকবলের ক্ষেত্রেই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোমের’ কথা বলেছেন। মহামারি শেষেও তাদের এই নীতি চলবে।

সূত্র : বিবিসি, গেজেটস নাউ, সিমপ্লিলার্ন।