যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মালালার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ব্লিনকেন। এ সময় তিনি আফগানিস্তানে নারী শিক্ষার বর্তমান অবস্থা নিয়ে মালালার কথা বলেন।
২০১২ সালে তালেবানরা মালালাকে স্কুলে যাওয়ার কারণে গুলি করেন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এর পর থেকে নারী অধিকার ও নারী শিক্ষা আন্দোলনের আইকনে পরিণত হন মামলা।
নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী পাকিস্তানি তরুণী মালালা ইউসুফজাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন।
মালালা বলেন, আমরা যখন নারী শিক্ষার বৈষম্য দূর করার কথা বলছি, তখন আফগানিস্তানে তালেবানরা মাধ্যমিক স্কুলে মেয়েদের যেতে নিষেধ করছেন।
২০ বছর পর মার্কিন সেনারা আফগান ত্যাগ করার পর প্রায় ১০০ দিন হতে চলল তালেবান শাসনের। কিন্তু তাদের শাসনামলে দেশটিতে নারীদের কর্মসংস্থান যেভাবে কমেছে, তেমনি প্রচণ্ডভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে নারী শিক্ষা। মালালা এ সময় ব্লিনকেনকে ১৫ বছর বছর বয়সি আফগান কিশোরীর লেখা চিঠি পড়ে শোনান।
আফগান ওই কিশোরী তার চিঠিতে লিখেছে, সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নারী শিক্ষা একটি শক্তিশালী উপাদান। নারীরা যদি শিক্ষিত না হয়, তা হলে আফগানিস্তান আরও পিছিয়ে যাবে।
একজন নারী এবং মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে সবার আগে আমাকে আমার অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে। নারীদেরও শান্তিতে বসবাস এবং পড়াশোনা করার অধিকার আছে।