উত্তরা থেকে আগারগাঁও গেল মেট্রোরেল

পরীক্ষামূলকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে ছেড়ে গেল স্বপ্নের মেট্রোরেল। তবে এতে কোনো যাত্রী ছিল না। রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৯ মিনিটে এ রুটে পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়।

এর আগে রেললাইন, বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন ও স্টেশনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করা হয়। দিয়াবাড়ি ডিপো এলাকা থেকে সকাল ৯টা ৩৯ মিনিটে মেট্রোরেল ছেড়ে যায় আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে। এ উপলক্ষে মেট্রোরেলের মূল অনুষ্ঠান হবে আগারগাঁও স্টেশনে।

মেট্রোরেলের প্রজেক্ট ম্যানেজার এবিএম আরিফুর রহমান বলেন, সকাল ৯টা ৩৯ মিনিটে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে মেট্রোরেল ছেড়ে দিয়েছি। এবারের মূল অনুষ্ঠান সেখানে (আগারগাঁওয়ে) হবে। আশা করছি ১১টায় আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছাবে মেট্রোরেলের কোচ।

পারফরম্যান্স টেস্টের অংশ হিসেবে এর আগেও ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫ কিলোমিটার গতিতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে চলাচল করেছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের দূরত্ব ১১ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার। আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ অংশে বাণিজ্যিক চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কর্তৃপক্ষ (ডিএমটিসিএল)।

মেট্রোরেলের প্রতি কোচে ৪৮ জন করে যাত্রী বসতে পারবেন। মাঝখানের চারটি কোচ হবে মোটরকার। এতে বসার ব্যবস্থা আছে ৫৪ জনের। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে যেতে পারবেন ৩০৬ জন। প্রতিটি কোচ সাড়ে ৯ ফুট চওড়া। মাঝখানের প্রশস্ত জায়গায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করবে। দাঁড়ানো যাত্রীদের ধরার জন্য ওপরে হাতল এবং স্থানে স্থানে খুঁটি আছে। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে এবং দাঁড়িয়ে মিলিয়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩০৮ জন যাত্রী চড়তে পারবেন।

দিয়াবাড়ির ডিপো থেকে ধাপে ধাপে ট্র্যাকে উঠেছে মেট্রোরেলের একেকটি ট্রেন সেট। শুরুটা হয়েছিল ডিপো থেকে স্টেশন এক পর্যন্ত। এরপর স্টেশন দুই, তিন হয়ে পল্লবী। এরই মধ্যে মিরপুর-১০ পর্যন্ত মেট্রোরেলের ট্রায়াল হয়ে গেছে। ট্রায়াল রানের জন্য তৈরি হয়ে গেছে কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও স্টেশনের অবকাঠামোও। এ পথেই আজ মেট্রোরেল যাত্রা শুরু করেছে। মেট্রোরেল পুরোপুরি বিদ্যুৎ-চালিত। সংকেত, যোগাযোগসহ ১৭ থেকে ১৮টি ব্যবস্থা ট্রেন চলার ক্ষেত্রে কাজ করে।