ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করলেন সালমান এফ রহমান

Salman F Rahman visit to Walton Factory Picture 1

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করে বলেছেন  ইলেকট্রনিক্স শিল্প গার্মেন্টসকে ওভারটেক করবে। এসময় তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিখাতে ওয়ালটন সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছে। তাদের প্রোডাক্ট ডাইভারসিটি অনেক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার (২৩ অক্টোবর, ২০২১) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করেন সালমান এফ রহমান। পরে তিনি বলেন, ওয়ালটন বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন করছে। তারা সব ধরনের যন্ত্রাংশও তৈরি করছে। ওয়ালটন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমি নিশ্চিত খুব শিগগিরই রপ্তানি খাতে ইলেকট্রনিক্স শিল্প গার্মেন্টস শিল্পকে ওভারটেক করবে।

১ লাখ ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানির সাফল্য উদযাপনে কেক কাটেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা। ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শাহ আলম সরোয়ার, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার একান্ত সচিব জাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া প্রমুখ।

শনিবার সকালে কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছালে অতিথিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, পরিচালক এস এম রেজাউল আলম, এস এম মঞ্জুরুল আলম ও সাবিহা জারিন অরনা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ শফিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মামুন সরদার, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডিএমডি হুমায়ূন কবীর ও আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডিএমডি লিয়াকত আলী ভুঁইয়া, ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক কর্নেল (অবঃ) শাহাদাত আলম, উদয় হাকিম, তানভীর রহমান, আনিসুর রহমান মল্লিক, ফিরোজ আলম, ইউসুফ আলী, মোস্তফা নাহিদ হোসেন, আমিন খান ও ইয়াসির আল ইমরান, আন্তর্জাতিক ব্যবসা ইউনিটের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, নির্বাহী পরিচালক শাহজাদা সেলিম, আবদুল্লাহ আল মামুন, জাহিদুল আলম, শাহজালাল হোসেন লিমন, মহসিন আলী মোল্লা প্রমুখ।

পরিদর্শন শেষে সালমান এফ রহমান আরো বলেন, ওয়ালটন যখন বলে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’, তখন সেটা সত্যিই মেইড ইন বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ণ) খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ালটন এক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ করছে। বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে তাদের আরএন্ডডি খুবই সমৃদ্ধ।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, ইলেকট্রনিক্স শিল্পই বাংলাদেশের ভবিষ্যত। ওয়ালটন পণ্য এখন বিশ্বের ৪০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের রেফ্রিজারেটর মার্কেটের ৭৫ শতাংশ ওয়ালটনের। এসির প্রায় ৫০ শতাংশ আর টিভির ৪০ শতাংশ মার্কেট ওয়ালটনের। এর অর্থ মানুষ ওয়ালটন পণ্যের প্রতি আস্থা ও ভরসা রাখছে।

এর আগে কারখানা প্রাঙ্গনে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের উপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। পরে অতিথিরা ওয়ালটনের মেটাল কাস্টিং, কম্প্রেসর, রেফ্রিজটারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, এলইডি টেলিভিশন, কম্পিউটার-ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, হোম অ্যাপ্লায়েন্সসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।

আরো পড়ুন : শাহরুখ-পুত্রের দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভুল ব্যাখ্যা করছে এনসিবি