অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, (ডাব্লিউ এইচ ওর) দুর্বল নেতৃত্ব ও করণীয়

নেতৃত্ব

ট্যাক্সের টাকায় দুর্বল নেতৃত্ব নিয়ে চলা স্টুপিড বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার শুরু থেকে সকাল এক তথ্য, বিকালে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে ভিন্ন তথ্য দিয়ে আসছে। তাদের ভুল তথ্য ও উদাসীনতার জন্য সারা বিশ্বে করোনা মহামারীতে ১২ কোটির বেশি মানুষ আক্রান্ত ও প্রায় ২৭ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে সারা বিশ্বে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।

কিছু টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যে কোন ঔষুধ বা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনাগুলো তদন্ত না করে সকালে এক তথ্য, বিকালে আরেক তথ্য দেওয়া ঠিক না।

এরমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া- রক্তনালীতে রক্তজমাট বাধা, প্রচন্ড মাথা ব্যাথা, বমি বমি অবস্থা, জ্বরাক্রান্ত হওয়াসহ সারা শরীরজুড়ে অস্বস্তি বোধের কারণে স্পষ্টতই ইউরোপে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে। জার্মান, ফ্রান্স, ইটালীসহ কমপক্ষে ১৩টি দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাস টিকা প্রদান অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করেছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তাদের টিকার সাথে রক্ত জমাটের ঝুঁকি বাড়ার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তারপরও ইউরোপের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইমা রক্ত জমাট বাঁধাসহ অন্য সব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঘটনাগুলো তদন্ত করছে।

বাংলাদেশে এই টিকা নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেড়েছে। টিকা নেওয়ার একমাস পর এক এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানও মারা গেছেন। এজন্য জনসাধারণ অনেকের মনেই প্রশ্ন, এই টিকা কতটা সুরক্ষা দিচ্ছে। এটা হওয়াও স্বাভাবিক। তাই সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের বিষয়টা তদন্ত করে জনসাধারণকে ব্রিফিং করা উচিত। পাশাপাশি যারা টিকা নিয়েছে, তাদের এন্টিবডি টেষ্ট করা দরকার। তাহলে জানা যাবে টিকা কতাটা কার্যকর।এই বিষয়ে সরকারের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া দরকার।

তানাহলে জনসাধারণের টিকা নেওয়ার প্রতি অনীহা তৈরি হবে। যেটা খুবই ভয়ংকর। কারন টিকা ছাড়া করোনা প্রতিরোধ কোন ভাবেই সম্ভব না। যে কোন ঔষুধ বা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তুলনায় বেনিফিট যদি বেশি হয় অবশ্যই টিকা নিতে হবে।

আরও পড়ুন:- টিকা নেওয়ার পর কি কেউ করোনা পজেটিভ হতে পারে?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র অবশ্যই আরও দ্বায়িত্বশীল হওয়া উচিত। সকাল এক তথ্য, বিকালে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে অন্য তথ্য না দিয়ে, টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তদন্ত করে মানুষের কাছে সঠিক তথ্য দিতে হবে। পাশাপাশি কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সেফ ও কার্যকারী টিকা পৃথিবীর মানুষের কাছে যেন পৌঁছে সেটা ভালভাবে কো-অরডিনেট করা। সকলের ট্যাক্সের টাকা আপনেদের বিলাসী জীবনযাপনের জন্য নয়, মানুষের পক্ষে কাজ জন্য দেওয়া হচ্ছে। তানাহলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র কোন তথ্য কেউ বিশ্বাস করবেন না। নিজ দায়িত্বে প্রতিরোধের নিয়ম মাস্ক পরুন, সামাজিক দুরত্ব মানুন ও সুস্থ থাকুন।

লেখকঃ-  ড. জাহিদ দেওয়ান শামীম
সিনিয়র সাইন্টিষ্ট, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র