রাঙামাটিতে পর্যটকদের স্রোত

ভ্রমণপ্রিয় হাজারও পর্যটকদের স্রোত এখন রাঙামাটিতে। নানান বয়সীরা সেখানকার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন । ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝরনা, জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে পলওয়েল পার্ক, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আরণ্যক হ্যাপি আইল্যান্ড, কাপ্তাই হ্রদ ও সাজেকসহ বিভিন্ন পর্যটনের কেন্দ্র মুখর হয়ে উঠেছে। শহরের হোটেল-মোটেলের অধিকাংশ রুম বুকিং রয়েছে।

ছুটির দিনগুলোতে পাহাড়ি এই জনপদে ২০ হাজার করে পর্যটক সমাগম হতো স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে। কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে সেই সংখ্যা কমে এসেছে। অবশ্য ধীরে ধীরে চিত্রটা ফের আশাব্যঞ্জক হয়ে উঠছে। রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা এখানকার অপার সৌন্দর্যে মুগ্ধ।

পর্যটন ঘাটের বোট ইজারাদার মো. রহমত আলী চৌধুরীর চোখেমুখে আনন্দ। তিনি জানান, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দীর্ঘদিন পর পর্যটকদের এত উপস্থিতি দেখা গেলো রাঙামাটিতে। এদিন সুবলংসহ লেক ঘাট থেকে ৫০-৬০টি বোট ছেড়ে গেছে।

ঢাকা থেকে আসা আইরিন আক্তার নামে একজন বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পর বিজয় দিবসের ছুটিতে প্রকৃতি দেখতে এসেছি। হ্রদ, পাহাড় ও ঝুলন্ত সেতু দেখে মন ভালো হয়ে গেছে।’

রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে পর্যটকদের ভিড়সাজেক ঘুরে রাঙামাটি এসেছেন ভ্রমণপ্রেমী মো. নাহিদ হাসান। তার কথায়, ‘ আমাদের দেশ কতটা সুন্দর তা রাঙামাটি এলে বোঝা যায়। এখানকার পরিবেশ দারুণ।’

শীতের কারণে ধীরে ধীরে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন খুব কম মানুষ। কেউ কেউ ছবি তোলার অজুহাত দেখিয়ে মাস্ক খুলে রাখছেন।

আরও পড়ুন :- রাঙ্গামাটিতে পর্যটকের ভিড়

যদিও রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়ার দাবি, মাস্ক ছাড়া কাউকে পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি মনে করেন, পর্যটকদের নিজেকে সচেতন হতে হবে। সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে পর্যটন করপোরেশন।