বাংলাদেশেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা ও করোনাভাইরাস মহামারি মোকবেলায় বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সর্ববৃহৎ ঋণ সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। জাপান সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়ন সহযোগিতা হিসেবে একক লোক প্যাকেজের আওতায় রেকর্ড ৩২০ কোটি ডলার (৩ দশমিক ২ বিলিয়ন) দিচ্ছে।
বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ১০ বছরের রেয়াতকালসহ ২০ বছরে মাত্র শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ সুদে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
আরো পড়ুন- বাংলাদেশকে ১৭৩৭ কোটি টাকা দিল বিশ্বব্যাংক
বুধবার (১২ আগস্ট) ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন জাপানের সাথে বাংলাদেশের ৪১তম অফিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স (ওডিএ) চুক্তিতে স্বাক্ষর করে বিপুল অর্থ দিচ্ছে জাপান।
সবশেষ গত বছর ৪০তম ঋণ প্যাকেজের আওতায় ২৫০ কোটি ডলার দিয়েছিল জাপান।
জাপান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার পাশাপাশি করোনাভাইরাস মহামারী মোকবেলায় এগিয়ে নিতে এই ঋণ সহায়তা দিচ্ছে জাপান।এই ৪১তম ঋণ প্যাকেজের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাতটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে এই ঋণ সহায়তা দিচ্ছে।
সাত মেগা প্রকল্পগুলো হলো- যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প-২ (ঋণের পরিমাণ ৮৯.০১৬ বিলিয়ন ইয়েন), হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বর্ধিতকরণ প্রকল্প-২ (ঋণের পরিমাণ ৮০ বিলিয়ন ইয়েন), ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (ঋণের পরিমাণ ৭২.১৯৪ বিলিয়ন ইয়েন), ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প (লাইন ৫) (ঋণের পরিমাণ ৫৫.৬৯৬ বিলিয়ন ইয়েন), চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে প্রকল্প (ঋণের পরিমাণ ১.৯০৬ বিলিয়ন ইয়েন), ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্প (ঋণের পরিমাণ ১১.২১৮ বিলিয়ন ইয়েন) এবং নগর উন্নয়ন ও শহর সুশাসন প্রকল্প (ঋণের পরিমান ২৮.২১৭ বিলিয়ন ইয়েন) দিচ্ছে জাপান।
জাপান দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক দাতা হিসেবে জাপান সর্বোচ্চ ঋণ সহযোগিতা দিচ্ছে।
এ পর্যন্ত দেশটি বাংলাদেশকে মোট ২২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে।
আরো পড়ুন- নিরাপদ সড়কে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৭৮০ কোটি ডলার: বিশ্বব্যাংক