বহুল আলোচিত সেই তুফান সরকার জামিন পেলেন

তুফান সরকার

বগুড়ার বহুল আলোচিত মা ও মেয়েকে ন্যাড়া করে নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত শহর শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার সাড়ে তিন বছর পর জামিন পেলেন। রবিবার (১৭ জানুয়ারি) আদালতে আবেদন মঞ্জুর করেছেন বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যাল- ১ এর বিচারক একেএম ফজলুল হক।

এদিন সাক্ষ্যগ্রহণের সময় ভিকটিম ও মামলার বাদী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তুফান সরকারের পক্ষে কথা বলেন। পরে বিচারক এ কে এম ফজলুল হক তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। তুফান প্রায় ৪ বছর ধরে জেলে আছেন। বগুড়ার প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি নরেশ মুখার্জ্জী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নরেশ মুখার্জি বলেন, রবিবার ধর্ষণ মামলার জামিন শুনানির সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি দাবি করেন, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তুফান সরকারের জামিনের ঘোর বিরোধিতা করেছেন। আদালত দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে তাকে জামিন দিয়েছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল মোন্নাফ, নুরুস সালাম এবং রবিউল ইসলাম প্রথম তুফান সরকারকে জামিন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে তবে বাদী যে আদালতে আসামিদের পক্ষে কথা বলেছেন সে ব্যাপারে তারা কোনও মন্তব্য করেননি।

আসামিপক্ষের অপর আইনজীবী বিনয় কুমার ঘোষ রজত জানান, বহুল আলোচিত ওই মামলাটি মীমাংসা হয়েছে। তাই ভিকটিম ও বাদী আদালতে তুফান সরকারের পক্ষে কথা বলেছেন। ফলে তুফান জামিন পেয়েছেন।

ধর্ষণের শিকার কলেজ ভর্তিচ্ছু ওই ছাত্রীর মা গত ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ভালো কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার নামে তুফান সরকার তার মেয়েকে শহরের চকসূত্রাপুরের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তুফানের স্ত্রী, বোন, মা ও অন্যরা ভিকটিম এবং তার মাকে

নির্যাতন করেন। পরে নাপিত ডেকে এনে তাদের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পুলিশ পর্যায়ক্রমে তুফান সরকারসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতার করে। তুফান সরকারকে শ্রমিক লীগ থেকে এবং তার ভাই মতিন সরকারকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। গ্রেফতারের পর অন্যরা জামিনে ছাড়া পেলেও তুফান সরকার জেলে আছেন।

আরো পড়ুন- কেরানীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোর খুন