প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে

প্রবাসী আয়ে

মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয়ে ২০২০ সালে ২০ বিলিয়ন আসতে পারে বাংলাদেশে। ৮ শতাংশ বাড়বে প্রবাসী আয়। এ ছাড়া প্রবাসী আয় প্রাপ্তির দিক থেকে বাংলাদেশ এ বছরও অষ্টম স্থানে থাকবে। গত শুক্রবার বিশ্ব রেমিট্যান্স পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘কভিড-১৯ ক্রাইসিস থ্রো মাইগ্রেশন লেন্স’ শীর্ষক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়েছে।

চলতি বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি যেখানে সংকুচিত হবে, সেখানে প্রবাসী আয়ও স্বাভাবিকভাবে কমবে। তবে মহামারি সত্ত্বেও এ বছর বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও মেক্সিকোর প্রবাসী আয় বাড়বে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এই দেশগুলোর প্রবাসী আয় কমেনি এবং তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবাহ বেড়েছে। এই তিন দেশ কেন ব্যতিক্রম তার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ঈদ ও বন্যার কারণে তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৩.৫ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার কারণে বিভিন্ন দেশে এখনো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আছে। এই অবস্থায় আনুষ্ঠানিক চ্যানেলগুলোর পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক চ্যানেল দিয়েও প্রবাসী আয়ের প্রবাহ সচল থাকবে। এ অঞ্চলের অপর দেশ ভারতের প্রবাসী আয়ে আগের বছরের চেয়ে ৯ শতাংশ কমে যাবে; যদিও পরিমাণের দিক থেকে তারা যথারীতি শীর্ষে থাকবে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ার প্রবাসী আয় গত বছরের তুলনায় ৪ শতাংশ কমতে পারে। আর ২০২১ সালে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। ওই বছর প্রবাসী আয় কমতে পারে ১১ শতাংশ। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চিত্রটা খারাপ। সার্বিকভাবে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বে প্রবাসী আয় কমবে ১৪ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের এপ্রিলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে প্রবাসী আয়ের পরিমাণের দিক থেকে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে রয়েছে। প্রথম স্থানে আছে ভারত (৭৬ বিলিয়ন ডলার), দ্বিতীয় স্থানে চীন (৬০ বিলিয়ন ডলার), তৃতীয় স্থানে মেক্সিকো (৪১ বিলিয়ন ডলার)। তবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) অনুপাতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ (জিডিপির ৬.২ শতাংশ)। এ ক্ষেত্রে ২৩ শতাংশ নিয়ে প্রথম স্থানে আছে নেপাল, ৯.১ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে পাকিস্তান, ৮.২ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় স্থানে শ্রীলঙ্কা।

আরো পড়ুন- মাথাপিছু জিডিপিতে ভারতকে ছাড়িয়েছে বাংলাদেশ