বিশ্বের সবছে বড় সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে বিপজ্জনক ‘সিগাল’পয়েন্টে গতকালও এক পর্যটক মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। আগের দিন একই জায়গায় প্রাণ হারান বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ফাতীন ইতমাম মাহমুদ (২৫)।
গতকাল গোসলে নেমে সাগরের ভাটার টানে ভেসে গিয়েছিলেন দেবরাজ দাশগুপ্ত (৪০) নামের এক আইনজীবী। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতের এই আইনজীবীও সৈকতের কর্মীদের সতর্কবার্তা আমলে নেননি। তাঁর সঙ্গে আরো পাঁচ পর্যটক ছিলেন।
বেসরকারি উদ্ধারকারী দল ‘সি সেভ লাইফ গার্ড’-এর হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর সৈকতে গোসল করতে নেমে প্রাণ হারিয়েছেন চার পর্যটক। গত পাঁচ বছরে মৃত্যু হয়েছে ২১ পর্যটকের। তাঁদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী।
সি সেভ লাইফ গার্ডের কর্মী ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমরা পর্যটকের দলটিকে জানাই যে এই পয়েন্ট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আগের দিন এখানে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মারা গেছেন। জবাবে আইনজীবীসহ অন্যরা জানান, তাঁরা সাগরের বেশি দূরে নামবেন না। এর মধ্যে ভাটার টানে অনেকটা দূরে চলে যান দেবরাজ দাশগুপ্ত। পরে উদ্ধারকারীরা তাঁকে রক্ষা করেন।’
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘শিগগিরই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হবে। এরপর এগুলোতে যাতে পর্যটকরা গোসল করতে নামতে না পারেন, সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের জরুরি বৈঠক হয়। তাতে সিদ্ধান্ত হয়, বিপজ্জনক স্থানগুলো লাল ফিতা ও লাল পতাকা দিয়ে ঘিরে রাখা হবে।
পুলিশ সুপার (ট্যুরিস্ট) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট ও কলাতলী পয়েন্টের বাইরে পর্যটকরা যাতে সৈকতে নামতে না পারেন, শিগগিরই সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন- ইলিশ পাচ্ছেন না চাঁদপুরের জেলেরা
সিফাত নামের এক উদ্ধারকর্মী জানান, পর্যটকরা মনে করেন পানির ওপরে যেমন সমান, তলদেশেও একই রকম। কিন্তু সাগরের পানির নিচে বালুচরের প্রতি মুহূর্তে সরে যাওয়ার বিষয়টি অনেকেরই অজানা। ভাটার সময় গোসল নিষিদ্ধ। গোসল নিষিদ্ধ রয়েছে সৈকতের নির্ধারিত এলাকা ব্যতীত অন্য স্থানেও। লাইফ জ্যাকেট ও রেসকিউ টিউব ছাড়া সাগরের পানিতে নামাও নিষিদ্ধ।
[…] […]
[…] […]